বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ।
"বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস, বীরদের আত্মত্যাগ এবং বিজয়ের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। জানুন সেই সংগ্রামের বিস্ময়কর অধ্যায়!"
ভূমিকা:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে শুরু করে এর বিস্তৃত বিবরণ, প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের আত্মত্যাগের অনন্য উদাহরণ। এই মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির অদম্য সাহস, ঐক্য ও স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের সংগ্রাম।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা বা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্যের মধ্যে এই সংগ্রামের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা যায় না, কারণ এটি কেবল একটি যুদ্ধ নয়, বরং একটি জাতির স্বাধীনতা লাভের চিরন্তন প্রতীক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বাঙালি জাতির গর্বিত অধ্যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ছিল। এই যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিনের শোষণ, নিপীড়ন এবং বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করি।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর পাকিস্তানের জন্ম হয়। তবুও পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) দ্বারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক শোষণের শিকার হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল এই শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ।
এরপর ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়, যা মুক্তিযুদ্ধের পথকে সুগম করে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট চালিয়ে ঢাকায় নৃশংস গণহত্যা চালায়।
এরই প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর শুরু হয় নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হন এবং ২ লক্ষ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হন। ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় বাঙালিরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
এ দিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে, এবং বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতার লড়াই নয়, এটি ছিল বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে সাহায্য করে।
অতএব, এই ইতিহাস আমাদের সকলের মধ্যে জাতীয় গর্ব এবং ঐক্যবোধ জাগিয়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা: বাংলাদেশের গৌরবময় সংগ্রামবাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, বা মুক্তিযুদ্ধ, একটি গৌরবময় এবং শক্তিশালী অধ্যায় যা আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এক ঐতিহাসিক স্বাধীনতা লাভ করি, যা আমাদের জনগণের অবিশ্বাস্য সাহস, ত্যাগ এবং সংগ্রামের ফলস্বরূপ অর্জিত।
মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর পরিস্থিতি
মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে। তবে, এর পেছনে ছিল দীর্ঘকালীন এক ন্যায়বিচারের লড়াই। পাকিস্তান সরকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এর প্রতি যে অমথ্য আচরণ করেছে, তার ফলশ্রুতিতে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, যার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল, কিন্তু পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে আক্রমণ করে, যা 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে পরিচিত, এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের শুরু হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী ইতিহাস
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ছিল একত্রিত, সাহসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ভারতীয় সেনাবাহিনীও বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল এবং একত্রে তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল এবং স্বাধীনতা লাভের জন্য তারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের পরিণতি
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এই ঐতিহাসিক দিনটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও বিজয়ের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নতুন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে।
মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুধুমাত্র একটি স্বাধীন দেশ অর্জনের গল্প নয়, এটি আমাদের জাতীয় চেতনা, সাহস, সহমর্মিতা, এবং মানবাধিকার সংরক্ষণের প্রেরণা। এই যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যে, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জন সহজ নয়, বরং এটি একটি কঠিন সংগ্রামের ফল। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং এর শিক্ষা প্রভাবিত করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রতিবেদন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রতিবেদন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ নেয় এ মুক্তিযুদ্ধ, যা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি পায়।
পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এ যুদ্ধ শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির মুক্তির পথ নির্দেশ করে। এই ভাষণ বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে।
২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনারা "অপারেশন সার্চলাইট" নামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। সেই বর্বরতার প্রতিশোধ নিতে বাঙালি জাতি সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ প্রাণের আত্মাহুতি ও দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি অর্জন করে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি।
মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও সাধারণ মানুষের অসীম ত্যাগ ছিল এই যুদ্ধে জয়ের মূল কারণ। ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুধু একটি যুদ্ধের বর্ণনা নয়; এটি বাঙালির সাহস, ত্যাগ, এবং স্বাধীনতার চিরন্তন প্রতীক।
এই প্রতিবেদন আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে সচেতন করবে এবং দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা আরও গভীর করবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ ইতিহাস জানার মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করাই আমাদের দায়িত্ব।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার গৌরবময় অধ্যায়। পাকিস্তানের শাসনামলে পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যমূলক নীতির বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ভাষা আন্দোলন, অর্থনৈতিক শোষণ, এবং সাংস্কৃতিক নিপীড়নের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার হরণ করতে থাকে।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করলেও, পশ্চিম পাকিস্তান তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে বর্বর হামলা চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং সাধারণ মানুষ অকল্পনীয় আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে। ভারতের সহযোগিতায় গঠিত যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে এই যুদ্ধ চূড়ান্ত সাফল্য পায়।
অবশেষে, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বাঙালির সাহস, সংগ্রাম এবং চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক। এই যুদ্ধ কেবল একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতার নয়, বরং একটি জাতির স্বপ্ন এবং স্বাভিমানের প্রতিষ্ঠার গল্প।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের অমূল্য অনুপ্রেরণা এবং তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এ যুদ্ধের অবসান ঘটে।
এই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান এনে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করতে গেলে শুধু তার সময়কাল নয়, এর বীরত্বগাথা, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের গল্পও তুলে ধরতে হয়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ নয়, একটি জাতির দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব রূপ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, যে কোনো বাধা অতিক্রম করে কিভাবে বিজয় অর্জন করা যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের মাইলফলক। এই ইতিহাস শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের জন্যও এক অনন্য প্রেরণা। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ আমাদের জাতির প্রতি দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি দীর্ঘ সংগ্রাম, যা জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করেছে। এটি শুধু একটি যুদ্ধ নয়, বরং একটি জাতির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক উঠে আসে। এর পরপরই ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বর আক্রমণে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়, যা পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে তোলে।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে শহীদ হন লক্ষাধিক মানুষ, আর কোটি মানুষ দেশান্তরী হয়ে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নেন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশপ্রেমের প্রেরণায় সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি অধ্যায় আমাদের সাহস, একতা ও আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করলে বিজয়ের চূড়ান্ত সূচনা হয় এবং জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের কাছে কেবল অতীতের গৌরব নয়, এটি একটি চেতনা, যা নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার মর্মবাণী বুঝতে উদ্বুদ্ধ করে। স্বাধীনতা অর্জনের এই মহান কাহিনি সবসময় আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে নতুন করে উপলব্ধি করার সুযোগ দেয়। এটি কেবল একটি লেখা নয়, বরং একটি জাতির সম্মান, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতার অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এই ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রচার করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করে। এই যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হন এবং ২ লক্ষ নারী অত্যাচারের শিকার হন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা দেয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের যুদ্ধের পরে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং এটি নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয়।
এই যুদ্ধে গঠিত মুজিবনগর সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে একটি দিকনির্দেশনা দেয়। ভারতের সহযোগিতায় এই যুদ্ধ আরও শক্তিশালী হয় এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। মুক্তিযুদ্ধ কেবল একটি যুদ্ধ নয়, এটি ছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি গৌরবময় অধ্যায় যা ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয়।
এটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালিদের দীর্ঘ সংগ্রামের চূড়ান্ত ফল। মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিলেন এবং দুই লাখের বেশি নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করে। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও সাধারণ জনগণের ত্যাগ মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যকে নিশ্চিত করেছিল।
এ যুদ্ধ শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, একটি জাতির অধিকার ও মর্যাদার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার জনগণ তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করেছে। আজও এই সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের প্রেরণা ও জাতীয় গৌরবের স্মারক হয়ে আছে।
লেখকের কথা
আমি একজন বাংলাদেশি লেখক, যার হৃদয়ে সবসময়ই দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জাতীয় জীবনের এমন একটি অধ্যায়, যা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়।
এ আর্টিকেলটি লিখতে গিয়ে আমি চেষ্টা করেছি মুক্তিযুদ্ধের সেই গৌরবময় দিনগুলোর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে শুরু করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের গল্প, প্রতিটি শব্দের মাধ্যমে পাঠকদের কাছে সেই দিনের সংগ্রামকে জীবন্ত করে তুলতে চেয়েছি।
লেখার প্রতিটি অংশই গবেষণা ও নিজের অনুভূতির মিশেলে তৈরি, যা সম্পূর্ণ মৌলিক এবং কোনো জায়গা থেকে কপি করা নয়। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
"যার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা আমাদের হৃদয়ে চিরকাল থাকবে। যুদ্ধের নায়করা,
যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছিলেন, তাঁদের অবদান কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা, আমাদের সকলের দায়িত্ব, কারণ তা আমাদের সত্ত্বার অঙ্গ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। আমি বিশ্বাস করি, এই নিবন্ধটি আমাদের ঐতিহাসিক গৌরব ও মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও সচেতনতা তৈরি করতে সহায়তা করবে।"