ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন দেশে অবস্থিত ।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাত হিসেবে পরিচিত, কোন দেশে অবস্থিত তা জানুন। বিস্তারিত তথ্য ও ইতিহাস জানার জন্য পড়ুন এই আকর্ষণীয় আর্টিকেল।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন দেশে অবস্থিত এই বিষয়ে পুরোপুরি জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

ভূমিকা:

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ও আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক জলপ্রপাত, ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক বিস্ময়। আপনি কি জানেন, ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন দেশে অবস্থিত? অথবা এটি কোন নদীর গতিপথে গড়ে উঠেছে? এই বিস্ময়কর জলপ্রপাতটি আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত এবং পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে স্বীকৃত। 

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের পাশে ভিক্টোরিয়া হ্রদও অবস্থিত, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য উদাহরণ। এই আর্টিকেলে আমরা এর অবস্থান, গঠন, এবং গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন দেশে অবস্থিত

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন দেশে অবস্থিত? ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৃষ্টি, দক্ষিণ আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমান্তে অবস্থিত। এই জলপ্রপাতটি জাম্বেজি নদীর উপর গঠিত, যা তার বিশালতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের স্থানীয় নাম 

“মোসি-ওয়া-তুনিয়া,” যার অর্থ "গর্জনরত ধোঁয়া," কারণ দূর থেকে এটি এমনভাবে দেখা যায় যেন জল আর ধোঁয়ার এক অপূর্ব মিশ্রণ তৈরি হচ্ছে।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতকে পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি বলা হয়। প্রায় ১,৭০৮ মিটার প্রস্থের এবং ১০৮ মিটার উচ্চতার এই জলপ্রপাত প্রতি সেকেন্ডে লক্ষাধিক ঘনমিটার জল প্রবাহিত করে। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র যেখানে প্রতিবছর লাখো পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।

কেন ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত দর্শন করবেন?

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত শুধুমাত্র তার বিশাল আকৃতি এবং জলপ্রবাহের জন্য বিখ্যাত নয়, বরং এর আশেপাশের বন্যপ্রাণী এবং প্রাকৃতিক পরিবেশও ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। এখান থেকে আপনি সৌন্দর্যমণ্ডিত ভিক্টোরিয়া হ্রদও দেখতে পারবেন। আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা পেতে চান, 

তবে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য। এটি শুধুমাত্র একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, বরং পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বিস্ময়ের একটি প্রতীক।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন নদীর গতিপথে অবস্থিত?

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, যা পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম এবং চিত্তাকর্ষক জলপ্রপাত, এটি এক বিশেষ নদীর গতিপথে অবস্থিত। এই জলপ্রপাতটি অবস্থিত জাম্বেজি নদীর উপর, যা দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তের কাছে। জাম্বেজি নদী আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী, এবং ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত তার গা থেকে পতিত হয়ে সৃষ্ট অসাধারণ দৃশ্যের জন্য পরিচিত।

এটি সিম্বাবুয়ে এবং জাম্বিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং বিশাল আকারের জলধারা পড়ার কারণে পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম জলপ্রপাত হিসেবে গণ্য হয়। জাম্বেজি নদীটি তার দীর্ঘ পথচলার পর, ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের মাধ্যমে সাগরে প্রবাহিত হয়, যা জলপ্রপাতটির সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের আকৃতিও বিশাল, এটি প্রায় ১,৭০৮ মিটার প্রশস্ত এবং ১০৮ মিটার উচ্চতায় পতিত হয়, যা এর পানির শক্তি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই জলপ্রপাতের অদ্ভুত সৌন্দর্য এবং শক্তি এতটাই আকর্ষণীয়, যে এটি বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের জন্য এক অন্যতম গন্তব্যস্থল।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, পৃথিবীর বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এটি আফ্রিকার জম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ের সীমান্তে অবস্থিত। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত মূলত জম্বেজি নদীর গতিপথে গঠিত, যা আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম নদী। জম্বেজি নদী এখান থেকে প্রবাহিত হয়ে প্রায় ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে নিচে পতিত হয়, 

সৃষ্টি করে অপূর্ব একটি জলপ্রপাত, যা দেখলে মনোমুগ্ধ হতে বাধ্য।

কেন ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত বিশেষ?

বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি প্রায় ১.৭ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং প্রতি মিনিটে কয়েক মিলিয়ন লিটার পানি নিচে পড়ে। এই প্রাকৃতিক বিস্ময় আফ্রিকার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র এবং এটি ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য তথ্য

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের সৌন্দর্য দেখতে চাইলে জম্বেজি নদীর আশেপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখা এক দারুণ অভিজ্ঞতা। এখানকার স্থানীয় পরিবেশ, বন্যপ্রাণী, এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত শুধু আফ্রিকার নয়, পুরো বিশ্বের গর্ব। এটি জম্বেজি নদীর গতিপথে অবস্থিত এবং এর প্রকৃতির নিদর্শন সত্যিই অভাবনীয়। 

এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনার ভ্রমণ তালিকায় অবশ্যই ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতকে স্থান দিতে হবে।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন মহাদেশে অবস্থিত?

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, পৃথিবীর বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ নিদর্শন। এটি আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত। দক্ষিণ আফ্রিকার জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে দেশের সীমান্তে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটককে আকর্ষণ করে।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের পরিচিতি

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে জাম্বেজি নদীর গতিপথে। এটি প্রায় ১.৭ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং ১০৮ মিটার উঁচু, যা থেকে প্রতি সেকেন্ডে বিশাল পরিমাণ জল ধেয়ে পড়ে। এর ফলে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশার জন্য এটি স্থানীয়ভাবে "মোসি-ওয়া-তুনিয়া" নামে পরিচিত, যার অর্থ "গর্জনরত ধোঁয়া"।

কেন ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত?

প্রশস্ততা এবং উচ্চতার সংমিশ্রণে এটি পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত হিসেবে গণ্য হয়। যদিও আমাজন রেইনফরেস্টের ইগুয়াজু জলপ্রপাত এবং নায়াগ্রা জলপ্রপাতও বিখ্যাত, তবে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক শক্তি অতুলনীয়।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত ভ্রমণের সেরা সময়

ভ্রমণের জন্য বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়টি সবচেয়ে উপযুক্ত। এই সময়ে জলপ্রপাতের সৌন্দর্য এবং জলপ্রবাহের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে।

ভিক্টোরিয়া হ্রদ কোথায় অবস্থিত?

ভিক্টোরিয়া হ্রদ, যা আফ্রিকার মুকুট রত্ন নামে পরিচিত, পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির হ্রদ এবং আফ্রিকার বৃহত্তম হ্রদ। ভিক্টোরিয়া হ্রদের অবস্থান তানজানিয়া, উগান্ডা এবং কেনিয়া—এই তিনটি দেশের সীমান্তে বিস্তৃত। হ্রদটির নামকরণ করা হয়েছে ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার নামে, 

এবং এর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের জন্য এক অসাধারণ আকর্ষণ। এই বিশাল হ্রদটি নীল নদের প্রধান উৎস হিসেবে পরিচিত। এটি প্রায় ৬৮,৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং অসংখ্য দ্বীপের আশ্রয়স্থল। হ্রদের আশপাশের অঞ্চল জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। এটি স্থানীয় অর্থনীতি এবং মৎসশিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিক্টোরিয়া হ্রদ শুধু ভৌগোলিক গুরুত্ব নয়, এর সাথে যুক্ত রয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রকৃতির অপূর্ব মিলন। এই বিশাল জলরাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক বৈচিত্র্যের মেলবন্ধন যা পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত কোনটি?

পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত সম্পর্কে জানতে গেলে প্রথমেই আসে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের নাম। আফ্রিকা মহাদেশের জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে সীমান্তে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়। এটি জাম্বেজি নদীর উপর অবস্থিত এবং এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১,৭০৮ মিটার, যা একে পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত হিসেবে আলাদা পরিচিতি দেয়।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের উচ্চতা প্রায় ১০৮ মিটার এবং প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার কিউবিক মিটার পানি এখানে প্রবাহিত হয়। এটি এতটাই বিস্তৃত যে স্থানীয়ভাবে এটি "মোসি-ওয়া-তুনিয়া" নামে পরিচিত, যার অর্থ "গর্জনকারী ধোঁয়া।"

কেন ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত এত বিখ্যাত?
১. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: বিশাল জলপ্রপাতের সাথে জলীয় বাষ্পে তৈরি হওয়া রংধনু পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
২. বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদজগৎ: এই অঞ্চলটি বন্যপ্রাণী এবং গাছপালার জন্য বিখ্যাত।
৩. বিশ্ব ঐতিহ্য: এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে একটি।
ভ্রমণের সেরা সময়

মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বর্ষার সময়ে জলপ্রপাতটি সবচেয়ে সুন্দর রূপ ধারণ করে। পর্যটকরা তখন পানির প্রবাহের শক্তি ও সৌন্দর্য আরও উপভোগ করতে পারেন। পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত শুধু প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার নয়, এটি আমাদের পরিবেশ এবং ভূগোলের মহত্বও প্রকাশ করে। 

পৃথিবীর এই বিস্ময় একবার দেখে আসা জীবনের সেরা অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে।

পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত কোন নদীর উপর অবস্থিত?

পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতের কথা বললে প্রথমেই আসে ভেনেজুয়েলায় অবস্থিত "অ্যাঞ্জেল ফলস" বা সাল্টো অ্যাঞ্জেল-এর নাম। এই জলপ্রপাতটি চুরুন নদীর উপর অবস্থিত এবং এটি ৩,২১২ ফুট (৯৭৮ মিটার) উচ্চতা নিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের মর্যাদা পেয়েছে। গিনিরা পর্বতের শীর্ষ থেকে শুরু হওয়া এই জলপ্রপাতটি যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার।

অ্যাঞ্জেল ফলসের বিশেষত্ব

অ্যাঞ্জেল ফলস শুধুমাত্র উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়, বরং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গভীর অরণ্যে ঘেরা পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। চুরুন নদী, যা ক্যারোনি নদীর শাখা, এই জলপ্রপাতের জল সরবরাহ করে। এর জলপ্রবাহ পাহাড়ের গা বেয়ে নিচে পড়ার সময় অসাধারণ দৃশ্যের সৃষ্টি করে, যা বিশ্বজুড়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করে।

পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত কেন অনন্য?

অ্যাঞ্জেল ফলস এমন এক স্থান যেখানে প্রকৃতি তার সেরা রূপ প্রদর্শন করে। এর উচ্চতা, প্রাকৃতিক পরিবেশ, এবং নিরবচ্ছিন্ন সৌন্দর্য এটিকে অন্যান্য জলপ্রপাত থেকে আলাদা করে তুলেছে। এই জলপ্রপাতটি শুধুমাত্র পর্যটকদের আকর্ষণ করে না, এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত কোন নদীর উপর অবস্থিত তা জানার জন্য অ্যাঞ্জেল ফলসের ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। চুরুন নদীর এই জলপ্রপাতটি প্রকৃতির অপার বিস্ময়, যা সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। আপনি যদি প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন, তবে এটি আপনার জন্য অবশ্যই দর্শনীয় স্থান।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল: কলকাতার ইতিহাসের এক অমূল্য রত্ন কলকাতা শহরের হৃদয়ে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এক অনবদ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য, যা ইংরেজি শাসনের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। এটি শুধু একটি স্মৃতিস্তম্ভ নয়, বরং কলকাতার সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের প্রতীকও। 

প্রাচীন ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণে তৈরি এই স্মৃতিস্তম্ভটি প্রতিদিন হাজারো পর্যটককে আকৃষ্ট করে।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ইতিহাস

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণের শুরু হয় ১৯০৬ সালে, ব্রিটিশ শাসনকালে, যখন ভারতের ইতিহাসে বিশাল পরিবর্তন ঘটছিল। এটি ১৯১১ সালে নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং পরিপূর্ণভাবে ১৯২১ সালে শেষ হয়। মেমোরিয়ালটির উদ্দেশ্য ছিল রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে একটি সাশ্রয়ী, দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করা। 

কলকাতার একদম কেন্দ্রে, শিবপুর রোডে অবস্থিত এই অতি বিশাল ভবনটি শ্বেত মার্বেল দিয়ে তৈরি, যা তার সৌন্দর্য ও স্থায়িত্বকে আরও বৃদ্ধি করেছে।

নির্মাণ ইতিহাস

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর নির্মাণ শুরু হয় ১৯০৬ সালে এবং শেষ হয় ১৯২১ সালে। এটি নির্মিত হয় কিংবদন্তি রানী ভিক্টোরিয়ার সম্মানে, যিনি ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম গবর্নর জেনারেল হিসেবে শাসন করেছিলেন। এই মেমোরিয়ালের ডিজাইন তৈরি করেছিলেন বিখ্যাত স্থপতি স্যার উইলিয়াম এমব্রোসিয়াস এবং 

এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১৫ বছর। মেমোরিয়ালের নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে মার্বেল পাথর, যা তার সৌন্দর্য এবং স্থায়িত্বের প্রতীক।

স্থাপত্যশৈলী

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রিক-রোমান স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এর উপরের অংশে একটি বিশাল ডোম এবং চারপাশে চমৎকার গার্লি স্থাপত্য রয়েছে। মেমোরিয়ালের চারপাশে প্রশস্ত বাগান, লেক এবং সরু পথ যা একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। মেমোরিয়ালের কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিশাল মূর্তি যা রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার সুবিশাল বাগান, রাজকীয় স্থাপত্য এবং ইতিহাস প্রেমীদের জন্য চমৎকার জাদুঘর অবস্থিত। এটি প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করে। বিশেষত, বিকেলের সময় মেমোরিয়ালের সৌন্দর্য আরও মনোরম হয়ে ওঠে 

যখন সূর্যাস্তের আলোতে মেমোরিয়ালের মার্বেল ঝলমলে হয়ে ওঠে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল শুধু একটি স্থাপত্য নয়, বরং এটি কলকাতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি অমূল্য প্রতীক। এটি কলকাতার পর্যটন আকর্ষণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ভবিষ্যতেও এর গুরুত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

লেখকের কথা

এই আর্টিকেলটি লিখেছেন একজন উদ্যমী ব্লগার, যিনি ভ্রমণ ও প্রাকৃতিক বিস্ময়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে প্রেরণা পেয়েছেন। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য এবং ভৌগোলিক বিস্ময়গুলো নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি কাজ করে চলেছেন। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের মতো আশ্চর্যজনক স্থানগুলোকে কেন্দ্র করে তিনি এমন তথ্যসমৃদ্ধ এবং 

আকর্ষণীয় আর্টিকেল তৈরি করেন, যা পাঠকদের জ্ঞানের পাশাপাশি ভ্রমণের আগ্রহও জাগিয়ে তোলে। তাঁর প্রতিটি লেখায় সত্যতা, মৌলিকতা এবং পাঠকদের জন্য অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন উপস্থাপনা প্রতিফলিত হয়।

ধন্যবাদ
ফ্রিল্যান্সার দ্বিজেন্দ্র

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url